হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ ও পদযাত্রায় গুলি চালিয়েছে পুলিশ। তাতে অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।
এ সময় পুলিশসহ প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকালে শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পদযাত্রা উপলক্ষে সংগঠনের নেতার্মীরা দুপুর থেকেই জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র জিকে গউসের বাসভবন ও আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বিকাল ৫টায় শায়েস্তানগর বাজার এলাকা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের কাছে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এরপরেই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
সংঘর্ষের আগে দলীয় সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্জ জিকে গউছ বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছে বিএনপি, আর গাড়িতে আগুন দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিএনপির আন্দোলন করে বাধাগ্রস্ত করতে তারা এমন ঘৃণ্য পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি চায় বাংলাদেশের মানুষ ভোটকেন্দ্রে ফিরে আসুক। আমার ভোট আমি দিবো যাকে খুশি তাকে দিবো। বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই বিএনপি আন্দোলন করছে। ইনশাআল্লাহ বাংলাদশের গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না করে বিএনপি ঘরে ফিরে যাবে না।
হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো: মিজানুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্থফা রফিক, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল, শায়েস্তাগঞ্জের মেয়র ফরিদ আহমেদ অলি, বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান কাজল, নাজিম উদ্দিন শামছু প্রমুখ।