অবিলম্বে র্যাব ও ডিজিএফআই বিলুপ্তের দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, যে সব বাহিনীর বিরুদ্ধে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে, তারা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক আলোচনায় গুমবিরোধী সনদ বাস্তবায়নে সরকারকে সোচ্চার থাকারও তাগিদ দেন বক্তারা।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরও গুম ব্যক্তিদের সন্ধান না পাওয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। তাদের দাবি, গত দশ বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোরপূর্বক গুমের ঘটনায় নিখোঁজ ৭১০ জন।
আলোচনায় বক্তাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে প্রায় ৩ হাজার। এ অবস্থায় অভিযুক্ত বাহিনীগুলো বিলুপ্তির দাবি মানবাধিকার কর্মীদের।
মানবাধিকার সংগঠন মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি বলেন, ‘এরা ডিজিএফআই হোক, র্যাব হোক– যারাই হোক। কারও এখতিয়ার নেই বা তাদের দায়িত্বে পড়ে না কাউকে নিয়ে অবৈধ কোনো কাস্টডিতে রাখা কিংবা মানুষকে মেরে কোথাও ফেলে রাখা।’
গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী রেজাউর রহমান লেনিন বলেন, ‘ডিজিএফআই রাখতে পারবে না শেষ পর্যন্ত। যদি রাখে তাহলে অবস্থা খুবই খারাপ হবে।’
গুম হওয়া ব্যক্তিদের খোঁজে গঠিত কমিশন কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আলোচকরা। গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী রেজাউর রহমান লেনিন বলেন, ‘নতুন আইন হবে, বিচার পাবেন? কোনো ভাবেই এখানে বিচার পাওয়া সম্ভব না। যে আইন করা হয়েছে, সেটা সেদিন থেকেই অপরাধ। তার আগে থেকেই কোনো অপরাধ হলে সেসব অপরাধ নতুন আইনে গণ্য হবে না।’
মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি বলেন, ‘এতগুলো মানুষের সন্ধান আমরা তাহলে এখনো কেন পাচ্ছি না? শেখ হাসিনা তো নেই, তাহলে এসব তথ্য কারা আড়াল করে রাখছে? প্রতিটি পরিবারের এতটুকু জানার অধিকার আছে যে তার পরিবারের সঙ্গে আসলে কী হয়েছে।’
বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন বাহিনীর টর্চার সেল অবিলম্বে জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।