Dhaka 5:31 am, Tuesday, 8 July 2025
ব্রেকিং নিউজ :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গোয়াইনঘাট মডেল উপজেলায় উন্নীত হবে:এড.মুমিন গোয়াইনঘাটে যৌথবাহিনীর অভিযান নৌপথে চাঁদাবাজির দায়ে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক:৬ গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল সাংবাদিক বিলালের বিরুদ্ধে অপপ্রচার: গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাব’র নিন্দা সালুটিকর গোয়াইনঘাট রাস্তার বেহাল দশায়:মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে পর্যটকরা ব্যবসায় ধস গোয়াইনঘাটে বিএনপির শোক সভা ও দোয়া মাহফিল সিলেট সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য আটক গোয়াইনঘাটে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত:১ গোয়াইনঘাট-সালুটিকর রোডে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের গাফিলতিতে সৃষ্টি জনদুর্ভোগ লাঘবে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি: গোয়াইনঘাটে তথ্য বিভ্রাটকারীদের অপপ্রচারে শিকার সাংবাদিক মনজুর

বন্যায় সিলেটে ১২শ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি সাড়ে ৬ লাখ মানুষ

সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যায় ফের প্লাবিত হয়েছে। জেলার ৯৭টি ইউনিয়নের ১ হাজার ১৬০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৮ জন মানুষ। ১৪ দিন যেতে না যেতেই ফের তৃতীয় দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে সিলেট।

টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটে চলমান তৃতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত সোমবার নতুন করে বেড়েছে নদ-নদীর পানি। দিনভর ভারি বৃষ্টি না হলেও বুধবার সাড়ে ৫টা থেকে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে দুটি নদীর ৬টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রাতের বৃষ্টিতে সিলেটবাসীর মধ্যে দেখা দেয় শঙ্কা। নদীর পানি আরেকটু বাড়লে ডুববে নগরীর নিম্নাঞ্চলগুলো। বন্যার পানিতে জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষজন ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাটসহ সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোয় কিছু পানি কমলেও বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জে পানি বেড়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট, গোয়াইনঘাট-রাধানগর ও হাতির পড়া-ফতেহপুর সড়কগুলোর বিচ্ছিন্ন অংশ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানায়, জেলার ১৩ উপজেলায় ৯১টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত। ১ হাজার ১৬০টি গ্রামের ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৮ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত। জেলার ৬৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৮২৮ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ১২৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও প্রত্যেক উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে কন্ট্রোল স্থাপন করে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন করে বন্যার্ত অসুস্থ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৬টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ১১৬ সেমি এবং সিলেট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৪ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশিদ পয়েন্টে ১৪২ সেমি এ নদীর শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি ৪৩, ৯৯ ও ১৯ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভারি বৃষ্টি হয়নি। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর এক তথ্যে জানিয়েছে, জুলাই মাসের প্রায় পুরো সময়জুড়ে সিলেটে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি চলতে পারে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাট উপজেলায় সৃষ্ট তৃতীয় দফা বন্যার পানি নামছে। তিন নদীর পানি বিপৎসীমার নিছে আছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত ৯০ জন মানুষের মাঝে নিয়মিত রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষ ও আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলায় বন্যার্ত মানুষের মাঝে সাড়ে ২৪ টন জিআর চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গোয়াইনঘাট মডেল উপজেলায় উন্নীত হবে:এড.মুমিন

বন্যায় সিলেটে ১২শ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি সাড়ে ৬ লাখ মানুষ

Update Time : 07:17:37 pm, Wednesday, 3 July 2024

সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যায় ফের প্লাবিত হয়েছে। জেলার ৯৭টি ইউনিয়নের ১ হাজার ১৬০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৮ জন মানুষ। ১৪ দিন যেতে না যেতেই ফের তৃতীয় দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে সিলেট।

টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটে চলমান তৃতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত সোমবার নতুন করে বেড়েছে নদ-নদীর পানি। দিনভর ভারি বৃষ্টি না হলেও বুধবার সাড়ে ৫টা থেকে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে দুটি নদীর ৬টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রাতের বৃষ্টিতে সিলেটবাসীর মধ্যে দেখা দেয় শঙ্কা। নদীর পানি আরেকটু বাড়লে ডুববে নগরীর নিম্নাঞ্চলগুলো। বন্যার পানিতে জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষজন ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাটসহ সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোয় কিছু পানি কমলেও বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জে পানি বেড়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট, গোয়াইনঘাট-রাধানগর ও হাতির পড়া-ফতেহপুর সড়কগুলোর বিচ্ছিন্ন অংশ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানায়, জেলার ১৩ উপজেলায় ৯১টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত। ১ হাজার ১৬০টি গ্রামের ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৮ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত। জেলার ৬৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৮২৮ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ১২৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও প্রত্যেক উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে কন্ট্রোল স্থাপন করে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন করে বন্যার্ত অসুস্থ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৬টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ১১৬ সেমি এবং সিলেট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৪ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশিদ পয়েন্টে ১৪২ সেমি এ নদীর শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি ৪৩, ৯৯ ও ১৯ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভারি বৃষ্টি হয়নি। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর এক তথ্যে জানিয়েছে, জুলাই মাসের প্রায় পুরো সময়জুড়ে সিলেটে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি চলতে পারে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাট উপজেলায় সৃষ্ট তৃতীয় দফা বন্যার পানি নামছে। তিন নদীর পানি বিপৎসীমার নিছে আছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত ৯০ জন মানুষের মাঝে নিয়মিত রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষ ও আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলায় বন্যার্ত মানুষের মাঝে সাড়ে ২৪ টন জিআর চাল বিতরণ করা হচ্ছে।