Dhaka 3:08 pm, Tuesday, 11 November 2025

অনিয়মে জর্জরিত কোওর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়

আলো বার্তা ডেস্ক:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নে অবস্থিত কোওর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়।
শনিবার ১৭ মে সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিদ্যালয় খোলা রাখার বিষয়ে নির্দেশনা থাকার পরেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বন্ধ রেখে পাঠদান। সরেজমিন অবস্থান করে দেখা যায়, সকাল ১০ থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত কোন ধরনের পাঠদান করতে দেখা যায় নি।

এ বিষয়ে প্রভাষক হোসেইন আহমদ আম্বিয়া অভিযোগ করে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও কোওর বাজার উচ্চ বিদ্যালয় কোন নিয়মে বন্ধ রাখা হয়েছে। দিনদিন প্রতিষ্ঠানটি অধপতনের দিকে যাচ্ছে। লেখাপড়ার পরিবেশ নেই বললেই চলে। অথচ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক ফি নেওয়া হয় ২০০/২৫০ টাকা করে। ৬ষ্ঠ থেকে শুরু করে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি বছর সেশন ফি হিসেবে নেওয়া হয় ১৪০০/১৫০০ টাকা এবং সাথে ফরমের মূল্য ১০০ টাকা। যার কোন রসিদ দেওয়া হয় না। প্রতি ক্লাসে নতুন করে ফরম পূরণ করে ভর্তি হওয়া হয়তো-বা এটাই বাংলাদেশের একমাত্র ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক সংকট স্বাভাবিক বা হতেই পারে। প্রতিষ্ঠান নিজস্ব খাত থেকে খন্ডকালীন শিক্ষক নেওয়া হয় না কপন? এই শিক্ষক সংকটের কারণে নিয়মিত পাঠদান হয় না এমনটা অভিযোগ প্রতিটি ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকের। ছাত্র বেতন আদায় করে স্কুলের ফান্ডে রাখা হয়, না সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীকে ছাত্র বেতন অংশ থেকে কোন সম্মানী দেওয়া হয়? শহরের অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠানেও এতো বেশি সেশন ফি এবং ছাত্র বেতন আদায় করা হয় না কিন্তু একটা অবহেলিত ও দরিদ্র এলাকার প্রতিষ্ঠান থেকে তা আদায় করা হয়। অনেক হতদরিদ্র অভিভাবক তাদের ছেলে মেয়ের পড়ালেখার ব্যয়ভার চালিয়ে যেতে পারছেন না যার ফলে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনদিন। এসএসসি পরীক্ষার এডমিট কার্ড বিতরণের সময়ও নাকি একটা ফি নেওয়া হয় যা কোনভাবেই কাম্য নয়। হঠাৎ করে একটা প্রতিষ্ঠান এভাবে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হওয়ার নেপথ্যে কারণ কী? এখনই সময় এলাকার সচেতন মহলের এদিকে নজর দেওয়ার। প্রশাসনের নীরব ভূমিকাও খতিয়ে দেখার সময়।

স্থানীয় সূত্রে আরোও অভিযোগ পাওয়া যায় বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুলাল কান্ত দে ও অফিস সহকারী দেলোয়ার হোসেনকে বিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হলেও বিগত নয় মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত থেকেও বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিত্যানন্দ দাসের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রতন কুমার অধিকারী বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে সত্যাতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

অনিয়মে জর্জরিত কোওর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়

Update Time : 01:36:49 pm, Sunday, 18 May 2025

আলো বার্তা ডেস্ক:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নে অবস্থিত কোওর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়।
শনিবার ১৭ মে সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিদ্যালয় খোলা রাখার বিষয়ে নির্দেশনা থাকার পরেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বন্ধ রেখে পাঠদান। সরেজমিন অবস্থান করে দেখা যায়, সকাল ১০ থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত কোন ধরনের পাঠদান করতে দেখা যায় নি।

এ বিষয়ে প্রভাষক হোসেইন আহমদ আম্বিয়া অভিযোগ করে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও কোওর বাজার উচ্চ বিদ্যালয় কোন নিয়মে বন্ধ রাখা হয়েছে। দিনদিন প্রতিষ্ঠানটি অধপতনের দিকে যাচ্ছে। লেখাপড়ার পরিবেশ নেই বললেই চলে। অথচ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক ফি নেওয়া হয় ২০০/২৫০ টাকা করে। ৬ষ্ঠ থেকে শুরু করে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি বছর সেশন ফি হিসেবে নেওয়া হয় ১৪০০/১৫০০ টাকা এবং সাথে ফরমের মূল্য ১০০ টাকা। যার কোন রসিদ দেওয়া হয় না। প্রতি ক্লাসে নতুন করে ফরম পূরণ করে ভর্তি হওয়া হয়তো-বা এটাই বাংলাদেশের একমাত্র ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক সংকট স্বাভাবিক বা হতেই পারে। প্রতিষ্ঠান নিজস্ব খাত থেকে খন্ডকালীন শিক্ষক নেওয়া হয় না কপন? এই শিক্ষক সংকটের কারণে নিয়মিত পাঠদান হয় না এমনটা অভিযোগ প্রতিটি ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকের। ছাত্র বেতন আদায় করে স্কুলের ফান্ডে রাখা হয়, না সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীকে ছাত্র বেতন অংশ থেকে কোন সম্মানী দেওয়া হয়? শহরের অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠানেও এতো বেশি সেশন ফি এবং ছাত্র বেতন আদায় করা হয় না কিন্তু একটা অবহেলিত ও দরিদ্র এলাকার প্রতিষ্ঠান থেকে তা আদায় করা হয়। অনেক হতদরিদ্র অভিভাবক তাদের ছেলে মেয়ের পড়ালেখার ব্যয়ভার চালিয়ে যেতে পারছেন না যার ফলে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনদিন। এসএসসি পরীক্ষার এডমিট কার্ড বিতরণের সময়ও নাকি একটা ফি নেওয়া হয় যা কোনভাবেই কাম্য নয়। হঠাৎ করে একটা প্রতিষ্ঠান এভাবে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হওয়ার নেপথ্যে কারণ কী? এখনই সময় এলাকার সচেতন মহলের এদিকে নজর দেওয়ার। প্রশাসনের নীরব ভূমিকাও খতিয়ে দেখার সময়।

স্থানীয় সূত্রে আরোও অভিযোগ পাওয়া যায় বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুলাল কান্ত দে ও অফিস সহকারী দেলোয়ার হোসেনকে বিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হলেও বিগত নয় মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত থেকেও বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিত্যানন্দ দাসের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রতন কুমার অধিকারী বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে সত্যাতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।