বিএনপি-জামায়াত থেকে দেশবাসীকে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা দেশের সর্বনাশ ছাড়া কিছুই করতে পারে না। তাদের সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক শক্তি নেই। চোর ও লুটেরাদের সঙ্গে কেউ থাকে না।
ভোট চুরি করলে দেশের মানুষ মেনে নেয় না, খালেদা জিয়ার পদত্যাগই তার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া পদত্যাগ করেছিলেন ভোটচুরির অপরাধে।’
শনিবার (১২ আগস্ট) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়।
বিএনপি দেশের মানুষকে কী দিতে পেরেছে? প্রশ্ন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কী অপরাধ করেছে? বিএনপি কেনো এক দফার কথা বলছে। যারা স্বজনহারা তাদের জবাব কি খালেদা জিয়া দিতে পারবে?’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির অত্যাচারের শিকার দেশের সর্বস্তরের মানুষ। যারা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে তাদের মুখে এখন নীতির কথা শুনতে হয়। তবে বিএনপির মতো অত্যাচারের পথে হাঁটেনি আওয়ামী লীগ।’
এর আগে গত রোববার গণভবনে তৃণমূলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুযোগ থাকার পরও বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করেনি। এখন তারা কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইছে।’
তিনি বলেন, ‘গ্যাস বিক্রির অঙ্গীকার করে সরকারে আসে বিএনপি। তবে দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসার লোভ নেই আওয়ামী লীগের।’