আজ বৃহষ্পতিবার ১০ আগস্ট সম্প্রতিক এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেছেন ,
“পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। রাস্তায় আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীরা যে সময় নষ্ট করছে সে সময়টা পড়ায় মনোযোগ দেওয়া দরকার। ”
তিনি বলেন, যারা এ বছর (২০২৩) এর পরীক্ষা দিবে তাদের ক্লাস নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয়েছিল। আমাদের নির্বাচনী পরীক্ষা পর্যন্ত তারা ১৫ মাসের বেশি সময় পেয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস শেষ করতে ১৮ মাসের ক্লাশ হয়। তারা যথেষ্ট সময় পেয়েছে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে তিরি বলেন, আমাদের বেশ কিছুদিন যাবতই ডেঙ্গু পরিস্থিতির মধ্যে যাচ্ছি। এর মধ্যে আমাদের স্বাভাবিক সব কার্যক্রম চলছে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা আছে। আমি মনে করি না যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে নির্দেশ দিয়েছি যে প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডেঙ্গু মুক্ত রাখার জন্য মশক নিধনের জন্য যা যা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী আগেই সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন- আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে এইচএসসি পরিক্ষা শুরু হবে। সে সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জবাবে মন্ত্রী মহোদয় বলেছিলেন, উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা আগস্ট এর মাঝামাঝি হবে এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা জুনের প্রথম সপ্তাহে আমরা এই রুটিন প্রকাশ করে সেই রুটিন অনুযায়ি শিক্ষার্থদের যথারীতি টেস্ট পরীক্ষা হয়েছে। ফরম পূরণের হয়েছে রুটিন প্রকাশ এরপর দুই মাস সময় পেয়েছে তারপরে এখন এসে যদি এরকম একটা অযৌক্তিক দাবি নিয়ে বলে যে পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করতে হবেবা পরীক্ষা ৫০ নাম্বারে নিতে হবে সেই দাবিটা যৌক্তিক না।
চট্টগ্রামের বন্য পরিস্থিতি নিয়ে বোর্ড প্রধান বলেন, চট্টগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। ইতোমধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা এটা অবজারভেশন করবো যদি আমাদের পরীক্ষার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এরকম বন্যা পরিস্থিতি থাকে তাহলে যেই এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেই এলাকার পরীক্ষা বন্ধের আমরা ব্যবস্থা নেব আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ইতোমধ্যেই সেটা ঘোষণা করেছেন।