সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়াতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক টুইট বার্তায় তিনি, ইউনূসকে করা হয়রানি রুখে দিতে বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো ১৬০টির বেশি বিশ্বনেতার বিবৃতিটি সংযুক্ত করেন। সেই বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটনসহ অনেক বিশ্বনেতা ও নোবেলজয়ীর নাম রয়েছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ জানান তারা।
তিনি লিখেছেন, আমিসহ ১৬০ জনের বেশি বিশ্বনেতা দারুণ মানবিক ও শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই নিগ্রহ বন্ধের দাবি জানানোর আহ্বান জানান হিলারি।
এছাড়া ড. ইউনূসকে নিয়ে টুইট করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট আইনজীবী, লেখক এবং মানবাধিকারকর্মী কেরি কেনেডি। তিনি বিশ্বখ্যাত মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটর রবার্ট এফ কেনেডির মেয়ে এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজি।
গত ২৭ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে চিঠি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তার একদিন পরই ১৬০ জন বিশ্বনেতার চিঠি নিয়ে আবারও আলোচনায় ড. ইউনূস ও আসন্ন নির্বাচন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলার বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আত্মসম্মান না থাকায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করছেন।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মামলা নিয়ে আমি আলোচনা করি না, কেননা এটা সাব জুডিস। যেখানে এটা সাব জুডিস হিসেবে নিজের দেশেই গণ্য করা হয়। সেখানে বাহির থেকে বিবৃতি এনে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য বলা, আমি কে মামলা প্রত্যাহার করার?