Dhaka 6:50 am, Wednesday, 9 July 2025
ব্রেকিং নিউজ :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গোয়াইনঘাট মডেল উপজেলায় উন্নীত হবে:এড.মুমিন গোয়াইনঘাটে যৌথবাহিনীর অভিযান নৌপথে চাঁদাবাজির দায়ে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক:৬ গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল সাংবাদিক বিলালের বিরুদ্ধে অপপ্রচার: গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাব’র নিন্দা সালুটিকর গোয়াইনঘাট রাস্তার বেহাল দশায়:মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে পর্যটকরা ব্যবসায় ধস গোয়াইনঘাটে বিএনপির শোক সভা ও দোয়া মাহফিল সিলেট সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য আটক গোয়াইনঘাটে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত:১ গোয়াইনঘাট-সালুটিকর রোডে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের গাফিলতিতে সৃষ্টি জনদুর্ভোগ লাঘবে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি: গোয়াইনঘাটে তথ্য বিভ্রাটকারীদের অপপ্রচারে শিকার সাংবাদিক মনজুর

ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ করতে চাই বাংলাদেশকে- প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:21:33 am, Thursday, 24 August 2023
  • 138 Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের আইসিটি, অবকাঠামো, টেক্সটাইল ও পর্যটন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান, তার স্বপ্ন আছে বাংলাদেশকে একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার একটি স্বপ্ন আছে, যা বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্ন। তা হলো, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি এবং একটি সম্পূর্ণ উন্নত স্মার্ট জাতিতে পরিণত করা। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে তারা সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রচেষ্টা শুরু করেছেন।

শেখ হাসিনা বুধবার জোহানেসবার্গে রেডিসন হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার : বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিট’ শীর্ষক একটি রোড শোর অনুষ্ঠানে তার বাসস্থান থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শেখ হাসিনা জোহানেসবার্গে অবস্থান করছেন।

সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য আরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ লক্ষ্য নির্ধারণে বাংলাদেশ তার বাণিজ্যিক পরিস্থিতিকে দৃঢ়তার সঙ্গে শক্তিশালী করে চলেছে। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস, আমাদের প্রচেষ্টা শুধু আমাদের জন্য সুবিধাই দেবে না বরং যারা আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করে, তাদের জন্যও লাভজনক প্রমাণিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনা খুঁজে নিতে তারা বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ, এটি বাংলাদেশের প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করার উপযুক্ত সময়। তিনি বলেন, আমরা আইসিটি, ইলেকট্রনিক্স, অবকাঠামো, টেক্সটাইল, পর্যটন, ভারী শিল্প ও ছোট শিল্পের মতো খাতগুলোয় নানা সুযোগ-সুবিধার প্রস্তাব করেছি। আমাদের সরকার সুন্দরভাবে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ যেমন: বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সর্বোত্তম আয়ের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।

আমরা চাই, আপনারা আমাদের উন্নয়নযাত্রায় অংশ নিন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। দক্ষিণ আফ্রিকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য প্রবাসীদের ধন্যবাদ। আমরা আপনাদেরকে আমাদের প্রবৃদ্ধিতে আরও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের যৌক্তিকতা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের দেশে আপনার বিনিয়োগ সুরক্ষিত রয়েছে অব্যাহত হাই রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্টের (আরওআই) কারণে। এছাড়া আমাদের সরকার ব্যবসাবান্ধব এবং স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করে, যা আপনার বিনিয়োগের সফলতার নিশ্চয়তা দেয়।
বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের রয়েছে সবচেয়ে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ নীতি। এর মধ্যে রয়েছে একটি উদারীকৃত শিল্পনীতি, ওয়ান-স্টপ সার্ভিস, শতভাগ বিদেশি মালিকানার ভাতা, একটি সহজ প্রস্থান নীতি, ১৫ বছরের করছাড় নীতি, আমদানি করা যন্ত্রপাতির জন্য ভ্যাটছাড়, সুবিন্যস্ত পরিষেবা এবং আরও অনেক কিছু।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে আমরা টেকসই দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য প্রস্তুত আছি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, এআই ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ‘আর্থিক সংযোগ’ অনুসরণ করছে। বাংলাদেশ ট্রেডিশনাল কাস্টমার ব্যাংকিংয়ের চেয়ে বিনিয়োগ ব্যাংকিংকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

বাংলাদেশ কেন ‘লুক আফ্রিকা পলিসি’ গ্রহণ করেছে, এ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, আফ্রিকার জনসংখ্যা ১.৫ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে এবং বর্তমানে দ্রুত নগরায়ণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্মুখীন হচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্য, বিশেষত টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস ও কৃষিপণ্যের মতো খাতে রপ্তানি সম্প্রসারণের জন্য অনুকূল সুযোগ প্রদান করছে।

তিনি আরও বলেন, এক দশকে বাংলাদেশ আফ্রিকার নতুন বাজারের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতা উভয়েই আফ্রিকার অর্থনীতির সম্ভাবনা ও শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্কের সুবিধার কথা স্বীকার করে। আফ্রিকায় ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণি, দ্রুত বর্ধিত জনসংখ্যা ও ভোক্তা চাহিদার কারণে অঞ্চলটি বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির একটি আকর্ষণীয় বাজারে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে আফ্রিকান দেশগুলো থেকে প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ ও কাঁচামাল সংগ্রহের উপায় খুঁজছে। উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও গত বছর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল মাত্র ৩১৬.৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা উভয় দেশের রপ্তানি ও আমদানির পূর্ণ সম্ভাবনার তুলনায় কম। উভয় দেশের জন্য আমদানি-রপ্তানির আরও সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়ার বাইরে আমরা ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত একটি যৌথ কমিটি’ প্রতিষ্ঠা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দ্বৈত কর এড়ানোর চুক্তি নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে আগ্রহী। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এফবিসিসিআই ও দক্ষিণ আফ্রিকার চেম্বারের মধ্যে একটি যৌথ ব্যবসায়িক ফোরাম গঠনেরও পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের।

প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার : প্রধানমন্ত্রী ২২ থেকে ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠেয় ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার রাতে জোহানেসবার্গে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) জোহানেসবার্গের ওআর টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার সমবায় শাসন ও ঐতিহ্যবিষয়ক মন্ত্রী পার্ক টাউ এবং সেদেশে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নূর-ই হেলাল সাইফুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। সেখানে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। বিমানবন্দর থেকে তাকে রেডিসন ব্লু হোটেল স্যান্ডটনের প্যালেস অব রেসিডেন্সে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

‘আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে কাজ করুন’ : এদিন আফ্রিকাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হোটেল রেডিসন ব্লু স্যান্ডটনে আয়োজিত সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক কূটনীতিকে গুরুত্ব দিন, কারণ রাজনীতির পাশাপাশি অর্থনীতিও গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এখানকার যে দেশে কাজ করছেন সেখানে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে হবে।’

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আফ্রিকার দেশগুলোতে আরও বাংলাদেশি দক্ষ জনশক্তি পাঠানো, রেমিট্যান্স বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘এই মানুষগুলোই বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিঞা সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নূর-ই-হেলাল সাইফুর রহমান, মরক্কোর রাবাত দূতাবাসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মিশরের কায়রোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম, মরিশাসের পোর্ট লুইসে বাংলাদেশ হাইকমিশনের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ, নাইজেরিয়ার আবুজাতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের হাইকমিশনার মাসুদুর রহমান, আলজেরিয়ার আলজিয়ার্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত জুলকার নাইন, কেনিয়ার নাইরোবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের হাইকমিশনার তারেক মুহাম্মদ, লিবিয়ার ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাশার ও সুদানের খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আফ্রিকার দেশগুলোতে আরও দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে চাই। এ বিষয়ে আপনাদের আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন, যাতে কোনো অদক্ষ জনশক্তি ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে এসব দেশে প্রবেশ করতে না পারে।

তিনি বলেন, ‘যখন কোনো ব্যক্তি চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও আইসিটি বিশেষজ্ঞ না হয়েও ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশ গিয়ে সমস্যায় পড়েন এবং এভাবে তারা শুধু তাদেরই নিজেদেরই নয়, দেশেরও ক্ষতি করছেন। তাদের জন্য দক্ষ জনশক্তি বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের যত্ন নিতে হবে, কারণ তারা জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করার সময় বিরল মানবিক গুণাবলি প্রদর্শন করছে, যার জন্য তারা স্থানীয়দের প্রিয়ভাজন হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সব প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গোয়াইনঘাট মডেল উপজেলায় উন্নীত হবে:এড.মুমিন

ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ করতে চাই বাংলাদেশকে- প্রধানমন্ত্রী

Update Time : 06:21:33 am, Thursday, 24 August 2023

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের আইসিটি, অবকাঠামো, টেক্সটাইল ও পর্যটন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান, তার স্বপ্ন আছে বাংলাদেশকে একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার একটি স্বপ্ন আছে, যা বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্ন। তা হলো, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি এবং একটি সম্পূর্ণ উন্নত স্মার্ট জাতিতে পরিণত করা। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে তারা সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রচেষ্টা শুরু করেছেন।

শেখ হাসিনা বুধবার জোহানেসবার্গে রেডিসন হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার : বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিট’ শীর্ষক একটি রোড শোর অনুষ্ঠানে তার বাসস্থান থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শেখ হাসিনা জোহানেসবার্গে অবস্থান করছেন।

সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য আরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ লক্ষ্য নির্ধারণে বাংলাদেশ তার বাণিজ্যিক পরিস্থিতিকে দৃঢ়তার সঙ্গে শক্তিশালী করে চলেছে। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস, আমাদের প্রচেষ্টা শুধু আমাদের জন্য সুবিধাই দেবে না বরং যারা আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করে, তাদের জন্যও লাভজনক প্রমাণিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনা খুঁজে নিতে তারা বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ, এটি বাংলাদেশের প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করার উপযুক্ত সময়। তিনি বলেন, আমরা আইসিটি, ইলেকট্রনিক্স, অবকাঠামো, টেক্সটাইল, পর্যটন, ভারী শিল্প ও ছোট শিল্পের মতো খাতগুলোয় নানা সুযোগ-সুবিধার প্রস্তাব করেছি। আমাদের সরকার সুন্দরভাবে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ যেমন: বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সর্বোত্তম আয়ের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।

আমরা চাই, আপনারা আমাদের উন্নয়নযাত্রায় অংশ নিন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। দক্ষিণ আফ্রিকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য প্রবাসীদের ধন্যবাদ। আমরা আপনাদেরকে আমাদের প্রবৃদ্ধিতে আরও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের যৌক্তিকতা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের দেশে আপনার বিনিয়োগ সুরক্ষিত রয়েছে অব্যাহত হাই রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্টের (আরওআই) কারণে। এছাড়া আমাদের সরকার ব্যবসাবান্ধব এবং স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করে, যা আপনার বিনিয়োগের সফলতার নিশ্চয়তা দেয়।
বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের রয়েছে সবচেয়ে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ নীতি। এর মধ্যে রয়েছে একটি উদারীকৃত শিল্পনীতি, ওয়ান-স্টপ সার্ভিস, শতভাগ বিদেশি মালিকানার ভাতা, একটি সহজ প্রস্থান নীতি, ১৫ বছরের করছাড় নীতি, আমদানি করা যন্ত্রপাতির জন্য ভ্যাটছাড়, সুবিন্যস্ত পরিষেবা এবং আরও অনেক কিছু।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে আমরা টেকসই দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য প্রস্তুত আছি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, এআই ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ‘আর্থিক সংযোগ’ অনুসরণ করছে। বাংলাদেশ ট্রেডিশনাল কাস্টমার ব্যাংকিংয়ের চেয়ে বিনিয়োগ ব্যাংকিংকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

বাংলাদেশ কেন ‘লুক আফ্রিকা পলিসি’ গ্রহণ করেছে, এ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, আফ্রিকার জনসংখ্যা ১.৫ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে এবং বর্তমানে দ্রুত নগরায়ণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্মুখীন হচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্য, বিশেষত টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস ও কৃষিপণ্যের মতো খাতে রপ্তানি সম্প্রসারণের জন্য অনুকূল সুযোগ প্রদান করছে।

তিনি আরও বলেন, এক দশকে বাংলাদেশ আফ্রিকার নতুন বাজারের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতা উভয়েই আফ্রিকার অর্থনীতির সম্ভাবনা ও শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্কের সুবিধার কথা স্বীকার করে। আফ্রিকায় ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণি, দ্রুত বর্ধিত জনসংখ্যা ও ভোক্তা চাহিদার কারণে অঞ্চলটি বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির একটি আকর্ষণীয় বাজারে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে আফ্রিকান দেশগুলো থেকে প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ ও কাঁচামাল সংগ্রহের উপায় খুঁজছে। উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও গত বছর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল মাত্র ৩১৬.৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা উভয় দেশের রপ্তানি ও আমদানির পূর্ণ সম্ভাবনার তুলনায় কম। উভয় দেশের জন্য আমদানি-রপ্তানির আরও সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়ার বাইরে আমরা ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত একটি যৌথ কমিটি’ প্রতিষ্ঠা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দ্বৈত কর এড়ানোর চুক্তি নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে আগ্রহী। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এফবিসিসিআই ও দক্ষিণ আফ্রিকার চেম্বারের মধ্যে একটি যৌথ ব্যবসায়িক ফোরাম গঠনেরও পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের।

প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার : প্রধানমন্ত্রী ২২ থেকে ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠেয় ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার রাতে জোহানেসবার্গে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) জোহানেসবার্গের ওআর টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার সমবায় শাসন ও ঐতিহ্যবিষয়ক মন্ত্রী পার্ক টাউ এবং সেদেশে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নূর-ই হেলাল সাইফুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। সেখানে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। বিমানবন্দর থেকে তাকে রেডিসন ব্লু হোটেল স্যান্ডটনের প্যালেস অব রেসিডেন্সে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

‘আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে কাজ করুন’ : এদিন আফ্রিকাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হোটেল রেডিসন ব্লু স্যান্ডটনে আয়োজিত সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক কূটনীতিকে গুরুত্ব দিন, কারণ রাজনীতির পাশাপাশি অর্থনীতিও গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এখানকার যে দেশে কাজ করছেন সেখানে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে হবে।’

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আফ্রিকার দেশগুলোতে আরও বাংলাদেশি দক্ষ জনশক্তি পাঠানো, রেমিট্যান্স বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘এই মানুষগুলোই বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিঞা সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নূর-ই-হেলাল সাইফুর রহমান, মরক্কোর রাবাত দূতাবাসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মিশরের কায়রোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম, মরিশাসের পোর্ট লুইসে বাংলাদেশ হাইকমিশনের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ, নাইজেরিয়ার আবুজাতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের হাইকমিশনার মাসুদুর রহমান, আলজেরিয়ার আলজিয়ার্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত জুলকার নাইন, কেনিয়ার নাইরোবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের হাইকমিশনার তারেক মুহাম্মদ, লিবিয়ার ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাশার ও সুদানের খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আফ্রিকার দেশগুলোতে আরও দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে চাই। এ বিষয়ে আপনাদের আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন, যাতে কোনো অদক্ষ জনশক্তি ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে এসব দেশে প্রবেশ করতে না পারে।

তিনি বলেন, ‘যখন কোনো ব্যক্তি চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও আইসিটি বিশেষজ্ঞ না হয়েও ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশ গিয়ে সমস্যায় পড়েন এবং এভাবে তারা শুধু তাদেরই নিজেদেরই নয়, দেশেরও ক্ষতি করছেন। তাদের জন্য দক্ষ জনশক্তি বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের যত্ন নিতে হবে, কারণ তারা জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করার সময় বিরল মানবিক গুণাবলি প্রদর্শন করছে, যার জন্য তারা স্থানীয়দের প্রিয়ভাজন হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সব প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গেছে।