Dhaka 4:46 am, Tuesday, 8 July 2025
ব্রেকিং নিউজ :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গোয়াইনঘাট মডেল উপজেলায় উন্নীত হবে:এড.মুমিন গোয়াইনঘাটে যৌথবাহিনীর অভিযান নৌপথে চাঁদাবাজির দায়ে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক:৬ গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল সাংবাদিক বিলালের বিরুদ্ধে অপপ্রচার: গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাব’র নিন্দা সালুটিকর গোয়াইনঘাট রাস্তার বেহাল দশায়:মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে পর্যটকরা ব্যবসায় ধস গোয়াইনঘাটে বিএনপির শোক সভা ও দোয়া মাহফিল সিলেট সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য আটক গোয়াইনঘাটে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত:১ গোয়াইনঘাট-সালুটিকর রোডে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের গাফিলতিতে সৃষ্টি জনদুর্ভোগ লাঘবে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি: গোয়াইনঘাটে তথ্য বিভ্রাটকারীদের অপপ্রচারে শিকার সাংবাদিক মনজুর

ছয় মাসে ২১ হাজার বাংলাদেশি ইইউতে আশ্রয় চেয়েছেন

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:51:44 am, Wednesday, 6 September 2023
  • 308 Time View

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এ হার ২৮ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশও।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয়প্রার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইইউএএ) প্রতিবেদনের সূত্র ধরে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইইউ সদস্যভুক্ত ২৭টি দেশ এবং সহযোগী সদস্য দেশ সুইজারল্যান্ড ও নরওয়েতে ৫ লাখ ১৯ হাজার আশ্রয়প্রার্থী আবেদন করেছেন। এ গতি বছরের বাকি সময় অব্যাহত থাকলে ১০ লাখ ছড়িয়ে যেতে পারে।

ইইউএএ জানায়, আশ্রয়ের আবেদনকারীদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ সিরিয়া ও আফগানিস্তানের নাগরিক। তালিকায় এরপরই আছে ভেনেজুয়েলা, তুরস্ক, কলম্বিয়া, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকরা। ইইউএএ’র হিসাবে গত জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের ২০ হাজার ৯২৬ জন ইইউ দেশগুলোয় আশ্রয় চেয়েছেন।

সংস্থাটি জানিয়েছে, এমন রেকর্ডসংখ্যক আবেদন এর আগে ২০১৫-১৬ সালে পড়েছিল। ওই সময়ে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হলে বিপুলসংখ্যক সিরিয়ান উদ্বাস্তু এসব দেশে সাহায্য চায়। ওই সংকটকালে ২০১৫ সালে ইইউতে প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার আশ্রয়প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। এর পরের বছর ২০১৬ সালে প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার আশ্রয়প্রার্থী আবেদন করেন।

তুরস্কে অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ২০১৭ সালে ইইউ একটি চুক্তি করে। ওই চুক্তির আওতায় অভিবাসীরা ইউরোপে অনুপ্রবেশের সুযোগ হারান। এরপর ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের সময় ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে অবৈধ আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা আরও কমে আসে।

ইইউএএ বলছে, করোনার আগের সেই ঢেউ আবার বাড়তে শুরু করেছে। ২০২২ সালে আগের বছরগুলোর তুলনায় প্রায় ৫৩ শতাংশ আশ্রয় আবেদন বেড়েছে। এতে অভিবাসীদের নিয়ে আবার চাপের মধ্যে পড়েছে ইইউ সদস্যভুক্ত দেশগুলো।

সংস্থাটি বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমনিতে আশ্রয়প্রার্থী বেড়েছে। সব মিলিয়ে অভিবাসী নিয়ে চাপে আছে ইইউভুক্ত দেশগুলো। এসব দেশের অভিবাসীদের আলাদা মর্যাদা থাকায় চাপ আরও বাড়ছে

Tag :
About Author Information

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গোয়াইনঘাট মডেল উপজেলায় উন্নীত হবে:এড.মুমিন

ছয় মাসে ২১ হাজার বাংলাদেশি ইইউতে আশ্রয় চেয়েছেন

Update Time : 06:51:44 am, Wednesday, 6 September 2023

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এ হার ২৮ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশও।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয়প্রার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইইউএএ) প্রতিবেদনের সূত্র ধরে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইইউ সদস্যভুক্ত ২৭টি দেশ এবং সহযোগী সদস্য দেশ সুইজারল্যান্ড ও নরওয়েতে ৫ লাখ ১৯ হাজার আশ্রয়প্রার্থী আবেদন করেছেন। এ গতি বছরের বাকি সময় অব্যাহত থাকলে ১০ লাখ ছড়িয়ে যেতে পারে।

ইইউএএ জানায়, আশ্রয়ের আবেদনকারীদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ সিরিয়া ও আফগানিস্তানের নাগরিক। তালিকায় এরপরই আছে ভেনেজুয়েলা, তুরস্ক, কলম্বিয়া, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকরা। ইইউএএ’র হিসাবে গত জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের ২০ হাজার ৯২৬ জন ইইউ দেশগুলোয় আশ্রয় চেয়েছেন।

সংস্থাটি জানিয়েছে, এমন রেকর্ডসংখ্যক আবেদন এর আগে ২০১৫-১৬ সালে পড়েছিল। ওই সময়ে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হলে বিপুলসংখ্যক সিরিয়ান উদ্বাস্তু এসব দেশে সাহায্য চায়। ওই সংকটকালে ২০১৫ সালে ইইউতে প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার আশ্রয়প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। এর পরের বছর ২০১৬ সালে প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার আশ্রয়প্রার্থী আবেদন করেন।

তুরস্কে অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ২০১৭ সালে ইইউ একটি চুক্তি করে। ওই চুক্তির আওতায় অভিবাসীরা ইউরোপে অনুপ্রবেশের সুযোগ হারান। এরপর ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের সময় ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে অবৈধ আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা আরও কমে আসে।

ইইউএএ বলছে, করোনার আগের সেই ঢেউ আবার বাড়তে শুরু করেছে। ২০২২ সালে আগের বছরগুলোর তুলনায় প্রায় ৫৩ শতাংশ আশ্রয় আবেদন বেড়েছে। এতে অভিবাসীদের নিয়ে আবার চাপের মধ্যে পড়েছে ইইউ সদস্যভুক্ত দেশগুলো।

সংস্থাটি বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমনিতে আশ্রয়প্রার্থী বেড়েছে। সব মিলিয়ে অভিবাসী নিয়ে চাপে আছে ইইউভুক্ত দেশগুলো। এসব দেশের অভিবাসীদের আলাদা মর্যাদা থাকায় চাপ আরও বাড়ছে